যুক্তরাজ্যে প্রবেশে অভিবাসীদের আয়সীমা পর্যালোচনার নির্দেশ ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

ব্রেক্সিট পরবর্তী অভিবাসন ব্যবস্থার আওতায় নির্ধারিত বেতনসীমা ঠিক আছে কিনা তা পর্যালোচনা করতে মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজারি কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। বিদ্যমান অভিবাসন ব্যবস্থায় অভিবাসী কর্মীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার পাউন্ড বেতন পাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোনো ‘দক্ষ শ্রমিক’ যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের আবেদন করতে চাইলে তার বাৎসরিক আয় কমপক্ষে ৩০ হাজার পাউন্ড হতে হবে। নতুন অভিবাসন ব্যবস্থায় এ নিয়ম বলবৎ থাকা যথাযথ হবে কিনা খতিয়ে দেখতে বলেছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০২১ সাল থেকে নতুন অভিবাসন ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ব্রেক্সিটের পর নতুন অভিবাসন ব্যবস্থার আওতায় সীমান্তে অভিবাসীদের অবাধে চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তবে দক্ষ, অভিজ্ঞ ও মেধাবী কর্মীদের ক্ষেত্রে তা হবে না। তাদেরকে যুক্তরাজ্যে টানতে বিকল্প পথ তৈরি করা হবে। অভিবাসন ব্যবস্থার রূপরেখায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে অভিবাসীদের জন্য ৩০ হাজার পাউন্ড পারিশ্রমিকের সীমারেখা দেওয়া আছে। গত মাসে পরিবেশমন্ত্রী মাইকেল গোভ এ নিয়ে আপত্তি তোলেন। দক্ষ অভিবাসী কর্মী পেতে অভিবাসন নীতি নমনীয় করার আহ্বান জানান তিনি। অভিবাসী কর্মীদের ৩০ হাজার পাউন্ড পারিশ্রমিকের বাধ্যবাধকতার সমালোচনা করে গোভ বলেন, বেতন দিয়ে কারও যোগ্যতা বিচার করাটা সব শিল্প-কারখানার জন্য যথার্থ হবে না।

যুক্তরাজ্যে প্রবেশে অভিবাসীদের আয়সীমা পর্যালোচনার নির্দেশ ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

 

 

বিদেশ ডেস্ক 
প্রকাশিত: ১৩:৩৩, জুন ২৬, ২০১৯ | সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৪০, জুন ২৬, ২০১৯

 

 

  

ব্রেক্সিট পরবর্তী অভিবাসন ব্যবস্থার আওতায় নির্ধারিত বেতনসীমা ঠিক আছে কিনা তা পর্যালোচনা করতে মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজারি কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। বিদ্যমান অভিবাসন ব্যবস্থায় অভিবাসী কর্মীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার পাউন্ড বেতন পাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোনো ‘দক্ষ শ্রমিক’ যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের আবেদন করতে চাইলে তার বাৎসরিক আয় কমপক্ষে ৩০ হাজার পাউন্ড হতে হবে। নতুন অভিবাসন ব্যবস্থায় এ নিয়ম বলবৎ থাকা যথাযথ হবে কিনা খতিয়ে দেখতে বলেছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০২১ সাল থেকে নতুন অভিবাসন ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।


ব্রেক্সিটের পর নতুন অভিবাসন ব্যবস্থার আওতায় সীমান্তে অভিবাসীদের অবাধে চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তবে দক্ষ, অভিজ্ঞ ও মেধাবী কর্মীদের ক্ষেত্রে তা হবে না। তাদেরকে যুক্তরাজ্যে টানতে বিকল্প পথ তৈরি করা হবে। অভিবাসন ব্যবস্থার রূপরেখায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে অভিবাসীদের জন্য ৩০ হাজার পাউন্ড পারিশ্রমিকের সীমারেখা দেওয়া আছে। গত মাসে পরিবেশমন্ত্রী মাইকেল গোভ এ নিয়ে আপত্তি তোলেন। দক্ষ অভিবাসী কর্মী পেতে অভিবাসন নীতি নমনীয় করার আহ্বান জানান তিনি। অভিবাসী কর্মীদের ৩০ হাজার পাউন্ড পারিশ্রমিকের বাধ্যবাধকতার সমালোচনা করে গোভ বলেন, বেতন দিয়ে কারও যোগ্যতা বিচার করাটা সব শিল্প-কারখানার জন্য যথার্থ হবে না।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভবিষ্যত অভিবাসন ব্যবস্থার আওতায় ৩০ হাজার পাউন্ডের বেতনসীমা যথাযথ কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজারি কমিটিকে নির্দেশ দেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তিনি বলেন, ‘নতুন অভিবাসন ব্যবস্থার আওতায় সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপের পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতি ও ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করতে মেধাবী মানুষদের এদেশের দিকে টানতে হবে। প্রজন্ম ধরে চালু থাকা অভিবাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার প্রস্তাব রয়েছে। তা চূড়ান্ত করার আগে প্রমাণাদি পর্যালোচনা করতে হবে আমাদের। সেকারণে স্বাধীন ধারার বিশেষজ্ঞদের বেতনসীমা সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি। নতুন অভিবাসন ব্যবস্থা যেন যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে তা নিশ্চিত করাটা জরুরি।’

২০২০ সালের জানুয়ারি নাগাদ কমিটি তাদের মতামত উপস্থাপন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।