১০ মাসে ৩ হাজার ৩৯৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি

এই মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে এপ্রিলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে পাঁচ কোটি ডলার।

১০ মাসে ৩ হাজার ৩৯৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি

 

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট 
প্রকাশিত: ১৯:২০, মে ০৯, ২০১৯ | সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৬, মে ১০, ২০১৯

 

 

  





২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৩ হাজার ৩৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ইপিবি প্রতিবেদন বলছে, গত অর্থবছরের (২০১৭-১৮) একই সময়ে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ কম পণ্য রফতানি করেছিল বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে গত এপ্রিলে রফতানি আয় হয়েছে ৩০৩ কোটি ডলার। যদিও এই মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে এপ্রিলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে পাঁচ কোটি ডলার। গত বছরের এপ্রিলে এই আয়ের অঙ্ক ছিল ২৯৫ কোটি ডলার। এ অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে রফতানির আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ১৯০ কোটি ডলার। এই সময়ে আয় হয়েছে তিন হাজার ৩৯৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রফতানি আয় ছিল তিন হাজার ৪০ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার।
ইপিবির প্রতিবেদন বলছে, এই অর্থবছরের ১০ মাসে মোট রফতানি আয়ে পোশাকের অবদান প্রায় ৮৩ শতাংশ। তবে হোমটেক্স, টেরিটাওয়েলসহ এ খাতের অন্য রফতানির উপখাত হিসাব করলে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৮৮ শতাংশের বেশি হবে। এই সময়ে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয় এসেছে দুই হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানিতে এ বছর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পোশাক খাতে রফতানি আয় ছিল দুই হাজার ৬৭৪ কোটি ডলার।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এ খাতে আয় হয়েছে আট কোটি ১১ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। অবশ্য এই সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে। অর্জন হয়নি লক্ষ্যমাত্রাও। পাট ও পাটজাত খাত থেকে এপ্রিল শেষে রফতানি আয় হয়েছে ৬৯ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম। এছাড়া চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের চেয়ে ৮ দশমকি ৬৯ শতাংশ কমেছে। এই সময়ে এ খাতে আয় হয়েছে ৯১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।